Site icon অবিশ্বাস

নোয়াখালীতে মন্দির-হিন্দুদের বাড়িতে জামায়াতের হামলা

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় মিছিল থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়েছে জামায়াতকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে।

 

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে বৃহস্পতিবার দুপুরে রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের পরপরই বেগমগঞ্জের রায়গঞ্জ বাজারে মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।

ওই মিছিল থেকে রাজগঞ্জ বাজারের মন্দির, ঠাকুর বাড়ির সামনের মন্দির ও বাইন্নাবাড়ির মন্দির ভাংচুর হয় বলে বেগমগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মন্দির ভাংচুরের পর তারা ভূঁইয়া বাড়ি ও বণিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এই হামলায় নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছে।

এ সময় পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরকর্মীদের গোলাগুলিতে লিটন নামে এক পথচারী নিহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান সহকারী পুলিশ সুপার।

এদিকে দুপুর থেকে জেলা শহরের পৌর বাজার, গোদার মসজিদ ও দত্তের হাটে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় জামায়াত-শিবির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে।

দত্তের হাটে গোলাগুলিতে খোকন (২০) নামে এক যুবক নিহত হন। তিনি ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শিবির কর্মীরা দত্তেরহাটে আল-আমিন বাস ডিপোতে ১২টি বাস ভাঙচুর করে এবং চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নোয়াখালীর ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুব রশীদ নোয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

দুই জায়গায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে নোয়াখালীতে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মী সেলিম জানান। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে চার বছরের একটি শিশুও রয়েছে।

সংঘর্ষের সময় শিবিরকর্মীরা সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। এতে এসএ টিভি ও মোহনা টিভির সাংবাদিক এবং বাংলা ভিশনের ক্যামেরাম্যান আহত হন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Exit mobile version