Site icon অবিশ্বাস

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ

গৃহবধূ ও তার স্বামীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে (১৯) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাকিবুল হাসান রাকিব (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চরফকিরা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ২৬ ডিসেম্বর শনিবার সকালে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

রাকিব চরফকিরা ৫নং ওয়ার্ডের বারিক ক্যাপ্টেন বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। এ ঘটনায় রাকিবের মা রুনা বেগমকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে বিয়ে হয় ওই নারীর। বিয়ের পর কোনো এক সময় গৃহবধূর অজান্তে মোবাইল দিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তের কিছু ছবি তুলে রাকিব। এদিকে এক সন্তান জন্ম হওয়ার পর বিদেশে পাড়ি জমান ওই গৃহবধূর স্বামী।

এরপর ওই ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার গৃহবধূকে ধর্ষণ করে রাকিব। গৃহবধূ ঘটনাটি রাকিবের বাবা-মাকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। উল্টো তারা গৃহবধূকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন।

নিজের সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে প্রবাসী স্বামীকে কিছুই জানাননি ওই গৃহবধূ। ২২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গৃহবধূর শ্বশুরের ঘরে কেউ না থাকার সুবাদে ঘরে আসে রাকিব। এ সময় রাকিব গৃহবধূর কক্ষে ঢুকে তার শিশু বাচ্চাকে পানিতে ফেলে হত্যার হুমকি ও ছবিগুলো আজই ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে জোরপূর্বক আবারও ধর্ষণ করে।

একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবারও গৃহবধূর কক্ষে ঢুকে গৃহবধূর মুখে চানাচুর ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে দিয়ে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রাকিব। পরে রাকিবের সঙ্গে গৃহবধূর ধস্তাধস্তির শব্দ পেয়ে পাশের কক্ষ থেকে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন।

এ সময় রাকিব দ্রুত পালিয়ে আত্মগোপন করে। গৃহবধূর শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে বাবার বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ৩নং আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা রাকিবকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

যুগান্তর

Exit mobile version