নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূর স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ৮ জুন মঙ্গলবার ভোরে চরজব্বার থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই গৃহবধূ। পরে আইয়ুব আলী (২৯) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার ৫নম্বর চরজুবিলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত ১২টায় চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের শাহাদাত হোসেনের বাড়িতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের আবু তাহেরর পুত্র আইয়ুব আলী, মৃত শাহ আলমের পুত্র মো. কবির হোসেন, হুকু সারেংয়ের পুত্র সাইফুল ইসলাম, মফিজ পাটোয়ারীর পুত্র মাকসুদ, অজ্ঞাত সাহাব উদ্দিন ও বাদশা। তারা সবাই ডাকাত দলের সদস্য।
এ সময় ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই গৃহবধূসহ তার স্বামীকে মারধর করে সন্তানদেরসহ ঘরের বাহিরে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে গাছে বেঁধে রেখে আইয়ুব আলী গৃহবধূকে একটি ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা ঘরের আলমারি ভেঙ্গে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়।
পরে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত স্বামীকে উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং ভুক্তভোগী গৃহবধূকে থানায় নিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় চর মিজান গ্রামে অভিযান চালিয়ে আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল খায়ের এবং আব্দুল করিম জানান, আমরা তাদের চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
চরজব্বার থানার ওসি জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে করে বলেন, নির্যাতিতা গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের পর অভিযুক্ত প্রধান আসামি আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।