নড়াইলের সংখ্যালঘু ভোটাররা নির্বাচন-উত্তর সহিংসতার শিকার হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসব খবর পাওয়া গেছে। যেসব জায়গায় সহিংস ঘটনা ঘটেনি সেসব এলাকায় সংখ্যালঘুরা যথেষ্ট চাপের মুখে রয়েছে। কোথাও কোথাও তাদের ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে। ফলে নড়াইলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন অনেকটা ভীতসন্ত্রস্ত্র অবস্থার মধ্যে দিন যাপন করছে। এছাড়া নির্বাচন-উত্তর সহিংস ঘটনারও খবর পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের দিলীপ দাসের কাছে গত ৩ অক্টোবর ৫০ হাজার টাকা ও দুটি গরু দাবি করেছে ওই এলাকার বিএনপি কর্মীরা। একই রাতে সদরের পংকবিলা গ্রামের নির্মল পালের বাড়ি থেকে একটি পিতলের রাধা-কৃষ্ণ মূর্তি কে বা কারা মন্দিরের তালা ভেঙ্গে নিয়ে যায়। ২ অক্টোবর বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের হুগলাডাঙ্গা বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ী সুভাষের মিষ্টির দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে সন্ত্রাসীরা। একই দিনে সদরের সেনহাটি গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ২টি গরু সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেলেও স্থানীয় মানুষের অনুরোধে গরু ২টি ফেরত দেয়া হয়। সদরের টাবরা গ্রামের বিমল বিশ্বাসকে ৩ দিনের মধ্যে ভারতে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে স্থানীয় এক ব্যক্তি। এছাড়া সদরের দিঘেলা, বগুড়া, লোহাগড়ার নলদিসহ বিভিন্ন এলাকার সংখ্যালঘুরা চাপের মুখে রয়েছে। দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন হুমকি।
সংবাদ, ১৫ অক্টোবর ২০০১