Site icon অবিশ্বাস

নড়াগাতিতে সহিংসতা এলাকা জুড়ে চরম আতঙ্ক পূজা মণ্ডপের মূর্তি ভাঙচুর; সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, চাঁদা দাবি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় নির্বাচনোত্তর সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য নির্মিত মূর্তি ভাংচুর, মহিলাদের সম্ভ্রমহানি, সংখ্যালঘুদের কাছে চাঁদা দাবি ইত্যাদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ গোটা এলাকায় আতঙ্কাবস্থা বিরাজ করছে। পৌর কমিশনার আশোক ঘোষের এক লাখ টাকা চাঁদা ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া চাঁদা ধার্য করা হয়েছে কালিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তপন কর্মকার, সমর বিশ্বাস প্রমুখের। শনিবার রাতে মাধবপাশা ও শক্ত গ্রামের পূজামূর্তি ভাংচুর করা হয়। বড় কালিয়ার ব্যবসায়ী হারান দাস, কুলসুর গ্রামের গণেশ সাহাকে গুরুতর জখম করা হয়। ছোট কালিয়ার দারোগা বাড়ির ভাড়াটিয়া এক ভ্যানচালককে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লোকলজ্জার ভয়ে তারা এলাকা থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। এছাড়া কালিয়ার মির্জাপুর, চাচুড়ি, পুরুলিয়া, বড়দিয়া, মহাজন, রায়খালী প্রভৃতি এলাকার সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চলছে। কালিয়া আঃছালাম ডিগ্রি কলেজের একজন প্রভাষক জানান, কলেজে সংখ্যালঘু ছাত্রীদের উপস্থিতি এখন শূন্যের কোঠায়। কালিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিরুল হক মুক্তি জানান, আমি নিজেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি অভিযোগ করেন থানা পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে।

ভোরের কাগজ, ১৮ অক্টোবর ২০০১

Exit mobile version