Site icon অবিশ্বাস

পটুয়াখালীর দশমিনায় থানা হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ

পটুয়াখালীর দশমিনা থানা পুলিশের হেফাজতে লিটন খাঁ নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ৩ সন্তানের জনক লিটন দশমিনা থানার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকায় সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

 

জানা গেছে, স্থানীয় আকরাম খান সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদমান পুরনো সমস্যা সমাধানের কথা বলে তাকে বাড়িতে ডেকে আনা হয়। গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি পুকুরে কে বা কারা বিষ ঢেলে মাছ নিধন করে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিন দশমিনা থানায় লিটনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে থানায় ডেকে নেয় পুলিশ।

নিহতের ভগ্নিপতি মোফিজুর রহমান জানান, লিটনকে থানায় নেওয়ার খবর পেয়ে তিনিও সঙ্গে সঙ্গে থানায় যান। থানায় গিয়ে দেখেন অসুস্থাবস্থায় লিটনকে পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১টার পর লিটন মারা যায়।

লিটনের স্ত্রী মাজেদা বেগম জানান, জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী আকরাম খান সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লিটনের বিরোধ চলছিলো। এর জের ধরে মাদ্রাসা সুপারের প্রভাবের কারণে পুলিশ তার স্বামীকে সুস্থ অবস্থায় ধরে নিয়ে যায়। পরে লিটন অসুস্থ বলে তাকে খবর পাঠানো হয়। পরে শুনতে পান বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যালে তার স্বামী মারা গেছে।

পুলিশ হেফাজতে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবি করেন লিটনের স্ত্রী।

দশমিনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুস সালাম মোল্লা জানান, জমিজমা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে লিটনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয়। তিনি গ্রেফতার আসামি না হওয়ায় তার শরীর তল্লাশি করে থানায় প্রবেশ করানো হয়নি। বাথরুমে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রোববার রাত ১টার দিকে শের-ই বাংলা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

লিটনের মরদেহ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয় এবং অপমৃত্যু মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Exit mobile version