পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় এক যুবককে কুপিয়ে জখম করে তার বোনকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের জোলাগাতী গ্রামে ২২ মে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে কাউখালী থানার ওসি (তদন্ত) মো. রেজাউল করিম রাজিব জানান।
মেয়েটি (২৪) পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর তার ভাই (২২) কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ৮ নম্বর জোলাগাতী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন হোসেন বলেন, রাতে স্থানীয় নুরে আলম নামের এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে তাকে ঘটনাটি জানান। পরে স্থানীয়রা ওই মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় ও আহত অবস্থায় তার ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তারা পেশায় মৎস্য শিকারী বলে ইউপি সদস্য জানান।
হামলার শিকার ওই যুবক বলেন, রাতে জোলাগাতী গ্রামের একটি বাড়িতে মাছ দিয়ে বোনকে নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। পথে স্থানীয় মোজাম্মেল বয়াতীর ছেলে জামাল বায়াতী (২৮), মোসলেম শিকদারের ছেলে জিয়াদুল শিকদার (২৫), শাহীন হাওলাদারের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিকী (২৪), মাহাবুব শিকদারের ছেলে মিজান শিকদার (২৬) ও হক মৃধার ছেলে ইব্রাহিম মৃধা (২৩) তাদের গতিরোধ করে তার বোনকে তুলে নিয়ে যেতে যায়। এতে বাধা দিলে তারা তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
“এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা মোসলেম গাজীর ছেলে কামাল গাজী (৩৫)ও আকব্বর আলী হাওলাদারের ছেলে শাহিন হাওলাদার (২৫) আমার বোনকে ধরে নিয়ে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা বোনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে।”
কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা.সুভ্রত বিশ্বাস জানান, ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করার কিছু পর তার জ্ঞান ফেরে। তার ভাইয়ের ডান হাঁটু, হাঁটুর নিচে ও বাম হাতের কনুই থেতলানো এবং মাথার ওপরে ডান পাশে কাটা চিহ্ন ছিল।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযোগের মুখে থাকা কামাল গাজী স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার নামে কয়েকটি মামলা রয়েছে।