নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত কয়েকদিন ধরেই সারাদেশে মোবাইল নেট ডাউন করে রাখা হয়েছিলো। একবার ফোরজি/থ্রিজি অফ করে টুজি চালু করা হয়। আবার টুজিও বন্ধ করা হয়। আবার ফোরজি/থ্রিজি/টুজি সব চালু করা হয়। আবার সব বন্ধ করা হয়।
এরকম সুইচ অন অফের খেলা চালিয়ে যেতে থাকে সরকার। নির্বাচন ইস্যুতে নিরাপত্তার অজুহাতে সরকার এই নাটক করতে থাকে দেশের জনগণের সাথে। অথচ এটা ডিজিটাল যুগ। এই যুগে সবকিছুই ইন্টারনেট ভিত্তিক। একদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা মানে দেশের অর্থনীতির শতকোটি টাকার কার্যক্রম আটকে থাকা।
নির্বাচনের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সংবাদ সম্মেলনে এক বিদেশী সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “ম্যাডাম, কেন ইন্টারনেট বন্ধ ছিলো? আমরা ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল, যেকোন তথ্যের জন্য ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকা ছাড়া আমরা নিরুপায়। ইন্টারনেট স্লো ডাউন থাকার কারণে আমরা দেশের বাইরে কোনরকম নির্বাচনী তথ্য পাঠাতে পারছিলাম না।”
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমৎকার এক উত্তর দিয়ে সাংবাদিককে হতভম্ভ করে দেন। তার উত্তর ছিলো, “আমার মনে হয় অনেক বেশি ইউজারের ফলে ইন্টারনেট স্লো হয়ে গিয়েছিলো। যখন অনেক বেশি ইউজার ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকে তখন অটোমেটিকলি এটা স্লো ডাউন হয়ে যাবেই!!!”