পড়া না পারার অভিযোগে কুষ্টিয়ায় এক কওমি মাদ্রাসা ছাত্রকে বেধড়ক লাঠি পেটার পর কিল, ঘুষি ও সারা শরীরে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্র। বাড়িতে যাতে জানাতে না পারে সে জন্য মাদ্রাসায় আটকিয়ে রাখা হয়।
১৪ মার্চ শনিবার মারপিটের পর গতকাল বুধবার বিকেলে ছুটি পেয়ে বাড়িতে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ওই শিক্ষার্থী। এরপর জামা খুলে দেখা যায় সারা গায়ে মার ও লাথির চিহৃ। শিক্ষার্থীর নাম মারুফ আহমেদ সিয়াম। সিয়াম শহরের কোর্টপাড়া এলাকার মাসুদ করিম স্বপনের ছেলে। সে শহরের কালিশংকরপুর এলাকায় অবস্থিত কুষ্টিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, পড়া না পারার অভিযোগে গত শনিবার মাদ্রাসার বড় হুজুর (প্রিন্সিপাল) মাসাদুল হক ছাত্র সিয়ামকে লাঠি পেটা করে। এক সাথে কিল’ ঘুষি ও লাথি মারে শরীরের বিভিন্ন স্থানে। এতে সারা শরীরের কালো দাগ হয়ে যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর চিকিৎসা না দিয়ে মাদ্রাসা আটকে রাখা হয়। পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানাতে নিষেধ করে হুজুর। তার সাথে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এদিকে ১৮ মার্চ বুধবার মাদ্রাসা ছুটি দেয়া হয়। বাড়িতে এসে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। বাড়ির লোকজন জিজ্ঞাসা করে সব খুলে বলে সিয়াম। এরপর পোশাক খুলে দেখা যায় সারা দেহে মারের দাগ। মাদ্রাসা ছাত্র মারুফ আহমেদ সিয়াম বলেন, শনিবার বড় হুজুর তেমন কোন অভিযোগ ছাড়াই আমাকে বেদম মারধর করে। লাঠি দিয়ে পেটায়। পাশাপাশি মাটিতে ফেলে সারা শরীরে লাঠি মারে। আমি আকুতি জানালেও সে মারতেই থাকে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাদ্রাসায় আটকে রাখে। বাড়িতে জানাতেও বারন করে। আমার মত অনেক ছাত্রকে সে মারধর করে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না।
এদিকে ১৮ মার্চ বুধবার মাদ্রাসা থেকে আসার লালন শাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সিয়ামকে। সেখানে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা।