Site icon অবিশ্বাস

ফতুল্লায় ছাত্র ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।  সোমবার (৩১ মে) বিকালে ফতুল্লা থানার ভুইঘর রঘুনাথপুর হযরত ওসমান (রা.) তসহফিজুল মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

গ্রেফতারকৃত মাদ্রাসাশিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৪০) পটুয়াখালী সদর উপজেলার নন্দিগ্রামের মৃত হযরত আলীর পুত্র ও ফতুল্লার ভুইঘর রঘুনাথপুরস্থ হযরত ওসমান (রা.) তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক।

এর আগে সকালে ছাত্রটির মা তার ১২ বছর বয়সী পুত্র সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ফতুল্লার ভুইঘর রঘুনাথপুরস্থ হযরত ওসমান (রা.) তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বাদীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, হযরত ওসমান (রা.) তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় তিন বছর আগে হিফজ বিভাগে তার ছেলে পড়াশুনা করতো।

লকডাউন পরিস্থিতিতে তার ছেলে পার্শ্ববর্তী আরেকটি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করে। তাফকিরুল উম্মাহ হিফ্জ নামে সেই মাদ্রাসায় পড়লেও শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রায়ই ওই ছাত্রকে বর্তমান মাদ্রাসা থেকে আগের মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে যেত। এমনকি প্রায়ই তিনি বর্তমান মাদ্রাসার শিক্ষক শামীম হায়দারকে ফোন করে আগের ছাত্রকে মাদ্রাসায় পাঠাতে বলতো। তার কথা মতো শামীম হায়দার ওই ছাত্রকে আগের মাদ্রাসায় পাঠালে সেখানে তৃতীয় তলার নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রায়ই তাকে ধর্ষণ করতো রফিকুল।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মে একইভাবে ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে রফিকুল। এতে করে তার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গত ২৮ মে ওই ছাত্র ফোনে তার মাকে অসুস্থতার বিষয় বললে বলৎকারের বিস্তারিত ঘটনা সামনে আসে। গত রবিবার নির্যাতনের শিকার ছাত্রের মা ফতুল্লায় আসেন এবং তার ছেলের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধ মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ইত্তেফাক

Exit mobile version