Site icon অবিশ্বাস

ফরিদপুরের মধুখালীতে বিমাকর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি বিমা কোম্পানির নারী মাঠকর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মধুখালী থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার গ্রেপ্তারদের ফরিদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার আশাপুর গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারী একটি বেসরকারি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত আছেন। গত শনিবার উপজেলার আশাপুর গ্রামের বাসিন্দা ইমদাদ লস্কর (৩৮) তার পরিচিত এক ব্যক্তিকে দিয়ে ওই নারীকে ফোন দেন। ফোন দিয়ে তিনি একটি বিমার পলিসি খুলবেন বলে ওই নারীকে জানান এবং বলেন চর নওপাড়া যেতে।

ওই নারী শনিবার দুপুরে চর নওপাড়া দাসপাড়া গ্রামে গিয়ে ইমদাদ লস্করের সঙ্গে দেখা করেন। ইমদাদ লস্কর সেখান থেকে ওই নারীকে জনৈক ফিরোজ খন্দকারের পুকুর পাড়ে নিয়ে যান। পুকুর পাড়ে একটি টিনের দোচালা ঘরে ওই নারীকে বসতে দেন।

এরপর তাকে ধর্ষণ করেন ইমদাদ লস্কর। এ সময় সেখানে হাজির হন ওই এলাকার ফরহাদ শেখ (৩০) ও জুয়েল শেখ (২৮)। তারাও ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ওই স্থানে ফেলে রেখে তারা চলে যান। এদিকে ওই নারীর কাছে থাকা মোবাইল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যান লিটন ও ফরিদ মোল্যা নামের অন্য দুজন।

বিকালে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে তিনি অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে যান। পরে বাড়ির সদস্যরা তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় মধুখালী থানায় রবিবার সকালে মামলা করেন ওই নারী। সোমবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিমা কোম্পানির নারী মাঠকর্মী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইমদাদ লস্কর, ফরহাদ শেখ, জুয়েল শেখ, লিটন ও ফরিদ মোল্যা নামের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

তিনি জানান, ওই নারী বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া ওই নারীর চুরি হওয়া মোবাইল ও নুপুর উদ্ধার করা হয়েছে। আটকদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা টাইমস

Exit mobile version