Site icon অবিশ্বাস

বকশীগঞ্জে দোকান খোলার ছবি ফেসবুকে, মারধরের শিকার সাংবাদিক ও তার স্ত্রী

চলমান কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যেও দোকান খোলা রাখার ছবিসহ ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম ও তার স্ত্রীর ওপর হামলা হয়েছে। ২৬ জুলাই সোমবার দুপুরে বকশীগঞ্জ পৌরসভার মধ্যবাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক নাদিম। মামলায় বধুয়া ফ্যাশন নামের ওই দোকানটির মালিক সেলিম রেজা এবং তার দুই ছেলে রাসেল খন্দকার ও ইসরাত হোসেন শিপনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রাসেল খন্দকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হামলায় আহত সাংবাদিক নাদিম ও তার স্ত্রী গোয়ালগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মী (সিএইচসিপি) মনিরা বেগম বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও গতকাল রবিবার বকশীগঞ্জ বাজারের বধুয়া ফ্যাশন নামের দোকানটি খোলা রেখে পণ্যবিক্রি করছিল। বিষয়টি সাংবাদিক নাদিমের নজরে এলে দোকানটির ছবি তুলে তার ফেসবুক আইডিতে এ বিষয়ে একটি সচিত্র স্ট্যাটাস দিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ নিয়ে ওই দোকানের মালিক সেলিম রেজা ও তার দুই ছেলে সাংবাদিক নাদিমের ওপর ক্ষুব্ধ হয়।

আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার গোয়ালগাঁও কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্ত্রী মনিরা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইলে বাসায় ফিরছিলেন নাদিম। বেলা সোয়া ২টার দিকে তারা বধুয়া ফ্যাশনের সামনে দিয়ে আসার সময় দোকান মালিক সেলিম রেজা ও তার দুই ছেলে তাদের পথরোধ করে মারধর শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।

সাংবাদিক নাদিম কালের কণ্ঠকে বলেন, চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও বকশীগঞ্জের সকল ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ রাখলেও ব্যবসায়ী সেলিম রেজা তার বধুয়া ফ্যাশন নামের দোকানটি খোলা রেখে বেচাকেনা করেন। রবিবার তার দোকানের ছবিসহ ফেসবুক আইডিতে সচিত্র স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করেই দোকান মালিক ও তার দুই ছেলে আমাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে। আমি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, এ হামলার ঘটনায় দোকান মালিক ও তার দুই ছেলেকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন সাংবাদিক নাদিম। দোকান মালিকের ছেলে রাসেল খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দু’জন আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কালের কণ্ঠ

Exit mobile version