Site icon অবিশ্বাস

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ, পুলিশ দেখে পালালেন অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালক

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার জামিয়া সিদ্দিকিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালকের বিরুদ্ধে ওই মাদ্রাসার এক শিশু ছাত্রকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে খবর পেয়ে অভিযুক্ত পরিচালক মাওলানা আবদুল খালেককে আটক করতে গেলে পালিয়ে যান তিনি। সারিয়াকান্দি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হেলাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য পরিচালক মাওলানা আবদুল খালেক কয়েকদিন আগে ৫ ছাত্রকে নিয়ে ধান-চাল সংগ্রহের জন্য নন্দীগ্রাম উপজেলায় যান। সারাদিন আদায় শেষে তারা উপজেলার অমলপুর গ্রামের ইসাহাক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। সেখানে পরিচালক ওই ছাত্রকে ধর্ষণ করেন। কিন্তু লজ্জায় কাউকে কিছু বলেনি ওই শিক্ষার্থী।

পরে মাদ্রাসার এক শিক্ষক শুক্রবার বিষয়টি জানতে পেরে অভিভাবকদের অবহিত করেন। পরে তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করলে শুক্রবার রাতে জরুরি সভায় বসে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি। এদিকে ধর্ষণের খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত আবদুল খালেককে গ্রেফতার করতে মাদ্রাসায় গেলে পালিয়ে যান তিনি।

সারিয়াকান্দি থানার এসআই আবু হেলাল ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “সংবাদ পেয়ে ফোর্স নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মাওলানা আবদুল খালেক পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”

এ ঘটনায় অভিভাবকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযুক্ত পরিচালককে অবিলম্বে গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ঢাকা ট্রিবিউন

Exit mobile version