বগুড়ার কাহালুতে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের ২ লাখ টাকা না পেয়ে পীযূষ চন্দ্র বর্মণ নামে এক কিশোরকে পা কেটে ও ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই উপজেলার খাজলাল গ্রামের হরিবাসর থেকে সে অপহৃত হয় এবং ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, ওইদিন রাত ১০টার দিকে উল্লিখিত গ্রামের পুলিন চন্দ্র বর্মণের ছেলে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র পীযূষ (১৩) বাড়ির কাছে হরিবাসরে মেলা দেখতে যায়। ওই মেলা থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে। রাতেই তাদের বাড়ির দরজায় “বাবা আমাকে বাঁচাও, আমি অন্ধকারে আছি”, ও “দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাকে হত্যা করা হবে” লেখা দু’টি চিরকুট পাওয়া যায়। পীযূষ অপহরণের পর থেকে পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ ব ̈ক্তিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। অন্যদিকে কাহালু হাই ̄স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সহপাঠী সপ্তম শ্রেণীর পীযূষকে উদ্ধারের আলটিমেটাম দেয়। তারা ৮ মার্চের মধ্যে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। তারা এ ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে সোর্স নিয়োগ করে পীযূষকে উদ্ধারে। কিন্তু পুলিশ তাকে জীবিত উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী তাদের বাড়ির কাছে নগরবাড়ি ভিটার একটি ডোবা থেকে পীযূষের বাম পা বিচ্ছিন্ন ও ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, তাকে নির্যাতনের পর পা কেটে এবং ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সংখ্যালঘু লোকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
সংবাদ, ৮ মার্চ ২০০২