বরগুনার তালতলীতে বিয়ের প্রলোভনে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে রবিউল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল তাকে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১১টার দিকে তালতলী বন্দর এলাকা থেকে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে সোমবার রাতে তালতলী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
গ্রেপ্তারকৃত রবিউল তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আউট প্রসেসিং প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ঢাকার গাজীপুর পৌরসভার ১৪নম্বর ওয়ার্ডের পিটিপাড়া এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বড়বোনের সঙ্গে পরিচয় ছিল রবিউলের। সেই সুবাদে ওই বাড়িতে তার যাতায়াত ছিল। ৭-৮ মাস আগে ওই কিশোরীর সঙ্গে রবিউলের প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে গত আটদিন আগে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তালতলী বন্দর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন রবিউল। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর বিয়ের জন্য বার বার বললেও অভিযুক্ত তালবাহানা করতে থাকেন। পরে কিশোরী ঘটনাটি গোপনে এত প্রতিবেশীকে বললে বিষয়টি জানাজানি হয়। খবর পেয় পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
তালতলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান মিয়া জানান, গ্রেপ্তার রবিউলকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারের প্রেরণ করা হয়েছে।