বরগুনার পাথরঘাটায় ধর্ষণের অভিযোগ থাকা সত্বেও থানাপুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। রহস্যের বিষয় হচ্ছে, ধর্ষণের পর পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এসে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ এমন অভিযোগ করেছেন।
ধর্ষিতা গৃহবধূ বলেন, তার স্বামী সাগরে মাছ ধরতে গেলে তিনি তার তিন বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতের কোনো এক সময় মুখোশধারী তিন যুবক সিঁদ কেটে তার ঘরে প্রবেশ করে। তিনি বিষয়টি টের পাওয়ামাত্রই মুখোশধারীরা তার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কারসহ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় দুই যুবক ঘর থেকে বের হওয়ার পর এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে।
গৃহবধূ জানান, তার সঙ্গে প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেনের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মামলায় তিনি জেল খাটেন। এর প্রতিশোধ নিতে তিনি এলাকার যুবকদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার দিন দুপুরে সোহরাব হোসেন পাওনা ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। ওই টাকা রাতে চুরি করার সময় মেম্বারের লোকজন গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। সোহরাব মেম্বারের বিরুদ্ধে থানার দালালী করারও অভিযোগ করেন ওই গৃহবধু। একটি সূত্রের দাবী ওই ইউপি সদস্য থানার দালাল চক্রের সদস্য হওয়ায় মামলা না নিয়ে পুলিশ তাকে রক্ষা করেছে।
পাথরঘাটা থানার ওসি মো. শাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, গৃহবধূকে উদ্ধারের পর তাকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। অভিযোগ দিলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।