Site icon অবিশ্বাস

বরগুনার বামনায় মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ

বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের ধোপাবাড়ীর হরি মন্দির ও মন্দিরের ভিতরে থাকা পাঁচটি প্রতিমা রাতের আঁধারে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় দুর্বৃত্তরা এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় বলে জানিয়েছেন মন্দিরের সেবাইত কল্পনা রানী।

 

৫ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম ও বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনায় বামনা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের ধোপাবাড়ী বাসাবাড়ী নামক বাড়িতে ৫ বছর আগে একটি হরি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন নৃপেন চন্দ্র দাস। ওই মন্দিরটির পূজা অর্চনার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় নৃপেন দসের মেয়ে কল্পনা রানী দাসকে। গত কয়েক বছর ধরে কল্পনা রানী তান্ত্রিক সাধনার মাধ্যমে লোকের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে। এ নিয়ে ওই বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দাদের সাথে তার বাকবিতণ্ডা ঘটে।

কল্পনা রানীর অবৈধ এ চিকিৎসা সেবা প্রদানের বিষয়ে জানতে পেরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সবুজ ও বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম মাসুদুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে এ অপচিকিৎসা বন্ধ করার পরামর্শ দেন। এর কয়েকদিন পর গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ওই মন্দিরের তালা ভেঙ্গে পাঁচটি প্রতিমা ও মন্দিরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী জানায়, ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত নয়টায় উপজেলা সদরের কল্পনা রানী স্থানীয় কিছু নেতাদের সাথে গোপন সভা করেন। ওই দিন রাতেই মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে। এটি আসলেই রহস্যজনক।

মন্দিরের সেবাইত কল্পনা রানী বলেন, আমি গরীব মানুষ লোকের রোগ বালাই ভালো করে দুমোঠে ভাতের জোগার করি। আমাকে এই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ ও আমার চিকিৎসা সেবা বন্ধ করার জন্য দুর্বুত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

 

এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন পিপিএম বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালের কণ্ঠ

Exit mobile version