Site icon অবিশ্বাস

বরিশালে মাদ্রাসাছাত্রীকে আটকে রেখে নির্যাতন, দুই শিক্ষকসহ আটক ৩

বরিশালে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগে মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) মাদ্রাসাছাত্রী আয়শা ছিদ্দিকাকে (১৪) নির্যাতন করা হয়েছে বলে তার অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। সে নগরীর রূপাতলী এলাকায় আশরাফুন্নেছা বালিকা হাফিজি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা নিলুফা বেগম রোববার রাতে মামলা করার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেন এবং শিক্ষক সানজিদা বেগম ও নাজমা বেগম।

কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামিম জানান, শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে আয়শা ছিদ্দিকাকে বেত দিয়ে মারধর করেন এক শিক্ষিকা। অভিভাবকরা ছাত্রীকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আয়শার বাবা দর্জি কারিগর দেলোয়ার হোসেন বলেন, তার মেয়ে (আয়শা) হাফেজি পাস করেছে ওই মাদ্রাসা থেকে। তবে চর্চা করার জন্য মাঝে মাঝে তাকে সেখানে যেতে হতো। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, তার মেয়েসহ কয়েকজন ছাত্রী মিলে একজন শিক্ষককে চায়ের সঙ্গে অ্যালার্জির ওষুধ সেবন করায়। এ অভিযোগে শুক্রবার আয়শাসহ কয়েকজনকে মাদ্রাসার একটি কক্ষের ভেতর আটকে রাখা হয়। শনিবার বেদম মারধর করা হয়। ওইদিন তিনি (দেলোয়ার) মাদ্রাসায় গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে গিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। গতকাল সোমবার গ্রেফতার তিনজনকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিচারক শামিম আহমেদ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সমকাল । মানব জমিন

Exit mobile version