বরিশাল নগরীর রাজ্জাকিয়া মাদ্রাসায় নির্মমভাবে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে যখমের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক রবিউল হাসান জিহাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর কাউনিয়ার রাজ্জাকিয়া মাদ্রাসায়।
ঘটনার বিবরণীতে জানা গেছে, পশ্চিম কাউনিয়ার বাসিন্দা হুমায়ন কবিরের ছেলে ও ঐ মাদ্রাসার নাজেরার ছাত্র মো: আরাফাত হোসেন (১০) শিক্ষকের পিটুনিতে গুরুত্বর যখম হয়েছে।
জানা গেছে, ৭ ফেবুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে আরাফাত মাদ্রাসায় পড়া দেয়ার সময় ভুল হলে শিক্ষক রবিউল আরাফাতকে অমানবিকভাবে বেত্রাঘাত করেন। এতে আরাফাতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর যখম হয়। পরে আরাফাত ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে গোপনে তার পরিবারকে জানালে । শুক্রবার পরিবারের লোক আরাফাতকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যায়।
পরিবারের পক্ষ থেকে এমন নির্যাতনের বিষয়ে আরাফাতের অভিবাবক মাদ্রাসায় গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে উপস্থিত শিক্ষকরা অভিভাবকদের সাথে অসদসাচারণ করে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল হাসান জিহাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এমনটা কিছুই হয়নি পড়া না পারলে একটু মারধর করতে হয়। পরে আমি আরাফাতকে ঔষধ কিনে দিয়েছি। অভিবাবকদের সাথে অসদসাচারণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিতো অনেক কম বলেছি, অন্য কেউ হলে আরো বেশি বলতো।
এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক অভিভাবক জানান, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহে শিক্ষার্থীদের ওপর বেত্রাঘতের বিষয়ে কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অত্র মাদ্রাসার শিক্ষকরা তার তোয়াক্কা করছে না। এমনকি আমরা তাকে নিয়ে আসতে গেলে আমাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করে ওই শিক্ষক।
সন্তানদের মাদ্রাসায় ক্লাস করতে রেখে আসলে ও পড়া না পারলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা প্রায় তাদের সন্তানদের এভাবেই পিটিয়ে যখম করে। এ ব্যাপারে তারা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিবাবকগন।