চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত বৌদ্ধ ভিক্ষু জ্ঞানজ্যোতি মহাথেরো হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সামবেশে বক্তারা বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাসের উন্নয়ন হয়েছে, দেশের এবং মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়ে বলেন অন্যথায় জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলকে সঙ্গে নিয়ে এর বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সি আর দত্ত (বীর উত্তম), অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক, নেপালে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত পরিমল দে, অপু উকিল, নির্মল চ্যাটার্জী, দুর্লভ চন্দ্র দাস, উজ্জ্বল নীলমণি দাস প্রমুখ। ভদন্ত বোধি পাল মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে অব্যাহতভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হত্যা, নির্যাতন চললেও সরকার এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বক্তারা বলেন, দেশে সাম্প্রতিককালে তালেবানী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির অপতৎপরতার ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘটনার এতোদিন পরও পুলিশ খুনিদের গ্রেপ্তার না করে উল্টো তার আত্মীয় স্বজনদের গ্রেপ্তার করে ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় নেমেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে একথা বলে বক্তারা বলেন, জ্ঞানজ্যোতি নিহত হওয়ার ঘটনা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার দেশের নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সমাবেশ শেষে একটি প্রতিবাদ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি শহীদ মিনার থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত যায়।
ভোরের কাগজ, ৬ মে ২০০২