শুক্রবার ভোর রাতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের উৎকুল গ্রামের সাহাপাড়ায় ছয়টি সংখ্যালঘু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেলাজুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনায় অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত গৌরীপদ সাহা বাদী হয়ে গতকাল শনিবার সদর থানায় ২৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার প্রায় ৪০ ঘন্টা পরেও পুলিশ এই ঘটনার জন্য দায়ী কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাগেরহাট জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিলন কুমার ব্যানার্জী ও জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সম্বর কৃষ্ণ মণ্ডল এক যুক্ত বিবৃতিতে এই ঘটনায় উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে বলেছেন-এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের পক্ষে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব হবে না।
চারদলীয় এ জোটের জেলা সমন্বয়কারী ও বাগেরহাট-২ আসনের বিএনপি দলীয় প্রার্থী এম. এ. এইচ সেলিম শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টটা অস্বীকার করে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। গতকাল তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উলেখ্য, গত শুক্রবার ভোর রাতে একদল দুষ্কৃতকারী উৎকুল গ্রামের সাহাপাড়ায় ছয়টি সংখ্যালঘু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে দুটি ঘর সম্পূর্ণ ও চারটি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রথম আলো, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০১