Site icon অবিশ্বাস

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংক্ষিপ্ত করার মতামত দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস, শিক্ষার্থীর পরীক্ষা স্থগিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর নাম সংক্ষিপ্ত করার দাবিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় এক শিক্ষার্থীর মাস্টার্স পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কবির আল গালিব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংক্ষিপ্ত করে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ করার দাবি করেন।

 

রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। যার স্মারক নং- বশেমুরবিপ্রবি/র/জ.প্র/৪১/১২৬২(০৮), তাং-০১ ডিসেম্বর ২০১৯)। আদেশে বলা হয়, ‘কবির আল গালিব (আইডি নং- ২০১৩১২০৩০৭৩) এর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বিধির ৫(ক) নং ধারা ভঙ্গ করেছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সুষ্ঠু পরিবশ বজায় রাখতে, শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তাকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হলো।’

প্রসঙ্গত, সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের একদফা আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন কবির। ভিসিবিরোধী পদত্যাগ আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগ করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পান প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করে। সেই দাবিগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংক্ষিপ্ত করে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখার দাবিটিও ছিল। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগ্রহ না দেখালে কবির ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ১৪ নভেম্বর একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়। তাতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংক্ষিপ্ত করা নিয়ে প্রশাসনের কাছে করা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একমত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সঠিক রেখে কোন কিছু প্রচার ও প্রকাশ করার অনুরোধও জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান জানান, ‘কবির একটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িকভাবে পরীক্ষা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। অভিযোগটি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাংলা ট্রিবিউন

Exit mobile version