সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদের ‘ব্যঙ্গ’ করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিককে সাময়িক বহিস্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
১৫ জুন সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানা গেছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বিভিন্ন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক দল সম্পর্কে অশ্লীল ব্যঙ্গাত্মক, আপত্তিকর, প্রতিহিংসামূলক ও নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী বক্তব্য ধারাবাহিকভাবে ফেইসবুকে উপস্থাপন করে চলেছেন। তার দেওয়া স্ট্যাটাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণ হতে পারে। তার এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো’।
অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি মোতাবেক কেন চূড়ান্ত বহিষ্কার করা হবে না, তা সাতদিনের মধ্যে ই-মেইল করে জানাতে বলা হয়েছে জি কে সাদিককে।
জানা যায়, শনিবার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর আগে ও পরে ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সাধারণ সম্পাদক ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন।
তার এসব পোস্টের পর থেকেই শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে সাদিকের শাস্তি দাবি করে আসছেন। এরপর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জি কে সাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করার পর বিবৃতি দেয় ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদ।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল ও সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের যৌক্তিক সমালোচনা করলেই কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে ভয় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জি কে সাদিককে অভিযুক্ত করে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জি কে সাদিক বলেন, আমার কিছু ফেইসবুক পোস্টকে প্রশাসন আপত্তিজনক মনে করে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।