Site icon অবিশ্বাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ধর্ষণ শেষে হত্যার পর শিশুর লাশ বাঁশঝাড়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার কাইমপুর ইউনিয়নের মন্দবাগ গ্রামে নিখোঁজের পরদিন ২৩ ডিসেম্বর সোমবার জান্নাত আক্তার (১১) নামে এক স্কুলছাত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পাশের বাঁশঝাড়ে ফেলে রেখেছে কোনো লম্পট ঘাতক। এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মন্দবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতের বাবার নাম রফিক মিয়া। তার এক মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে জান্নাত সবার বড়। রফিকের বাড়ি সিলেটে হলেও বিয়ে করে মন্দবাগে থেকে যান। অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালাচ্ছিলেন। সূত্র বলছে, জান্নাতকে রোববার বিকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাতেও বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়।

২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকালে জান্নাতের মা পুতুল আক্তার বাড়ির উত্তর-পশ্চিমে বাঁশঝাড়ে মেয়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মেয়ের লাশ দেখে চিৎকার করে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন।

পরে কসবা সার্কেলের এএসপি আবদুল করিম, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

জান্নাতের মা পুতুল বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। জান্নাতের বাবা কুমিল্লা এবং আশপাশের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। সকালে পাশের বাঁশঝাড়ে মেয়ের লাশ দেখতে পাই। তার পরনের কাপড়চোপড় ছেঁড়া পাওয়া যায়।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর খুন করে বাঁশঝাড়ে কেউ ফেলে রাখতে পারে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল করিম বলেন, একটি নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত কেউ ছাড় পাবে না। হত্যার আলামতও পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।

যুগান্তর

Exit mobile version