Site icon অবিশ্বাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দপ্তরি গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বড়াইল উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী রবিউল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিনগত রাত ২টায় (১২ মার্চ) বড়াইল গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রবিউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

জানা যায়, বড়াইল উওর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির এক কিশোরী গত ৫ মার্চ বিকেলে ওই বিদ্যালয়ের মাঠে পরে থাকা পাতা কুঁড়াচ্ছিল। তখন ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী বড়াইল গ্রামের মৃত ফাজিল মিয়ার ছেলে রবিউল্লাহ তাকে বিদ্যালয়ের ভিতরে পরে থাকা পাতা নিয়ে যেতে বলে। তখন সে ভিতরে যেতেই তার মুখে উড়না পেঁচিয়ে জোর পূর্বক বিদ্যালয়ের ছাদের উপর নিয়ে ধর্ষণ করে।

কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়ে একটু সহজ সরল। নির্যাতনের পর আউলা ঝাউলা চুল নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে আমার কাছে সব ঘটনা খুলে বলে। আমরা গরীব, সে কারনে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে প্রথমে কিছু বলি নি। এঘটনার পরদিন রাত ২টার সময় রবিউলের মা স্থানীয় মেম্বার লিয়াকত মিয়াকে নিয়ে এই ঘটনার জন্য আমার কাছে মাফ চাইতে আসলে আমি তাকে ফিরিয়ে দেই। ঘটনার দুই দিন পরে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে গেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে বড়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, লিয়াকত মেম্বার, জলিল মেম্বার বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য সময় নিয়েও কোন সমাধান দিতে পারেনি।

এ ঘটনা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আমি বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম কিন্তু আমরা দরিদ্র বলে কেউ এ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর স্থানীয় কয়েকজনকে বলেছিলাম সামাজিকভাবে মিমাংসা করার জন্য। পরে আমাকে আর কেউ কিছু জানায়নি।

এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা পিয়ারা বেগম বাদী হয়ে নবীনগর থানায় আজ(১২/৩/২০) মামলা দায়ের করেছেন।

নবীনগর থানার এস আই জসিমউদ্দিন বলেন, বুধবার রাতে অভিযোগ জানার পরপরই ওসি স্যারের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে রাত ২টায় বড়াইল গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রবিউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ও আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলা অবজারভার

Exit mobile version