ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হামলা ও ভাঙচুরের সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গুজব ছড়িয়ে সহিংসতার অংশ নেওয়ার অভিযোগে দুই ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ ছাড়া হেফাজতের তাণ্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার দিনগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয় জামে মসজিদের ইমাম ও হেফাজত নেতা দেলোয়ার হোসেন বেলালী এবং একই গ্রামের হরিণাদি জামে মসজিদের ইমাম ইকবাল হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৬ মামলায় মোট ৩৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিন জানান, শনিবার দিনগত রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাণ্ডবের ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত যে ৩৫৯ জনকে গ্রেফতার করেছে, তাদের মধ্যে ৩১৮ জন হেফাজতে ইসলামের কর্মী ও সমর্থক, ৩৮ জন বিএনপির নেতাকর্মী এবং তিনজন জামায়াত-শিবিরের কর্মী।
পুলিশ জানায়, হেফাজতে ইসলামের আহ্বানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা গত ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ জেলা শহরসহ তিন উপজেলায় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা চালিয়েছে।
তারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পুলিশ লাইনস, হাইওয়ে থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, রেলস্টেশনসহ অন্তত ৫৮ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের বাড়িঘর ও অফিস ভাঙচুর করে এবং আগুনে ভস্মীভূত করে দেয়।
হামলার পরে অজ্ঞাতনামা ৩৯ হাজার এবং ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে চার থানায় ৫৬টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় চারটি, সরাইল থানায় দুটি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনার সময় ধারণ করা স্থিরচিত্র এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।