Site icon অবিশ্বাস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাছিহাতায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলায় মাছিহাতা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।

 

ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ একটি হাঁসের খামারের সত্ত্বাধিকারী। এলাকার মানজু মিয়া নামে এক কর্মী দীর্ঘদিন তাদের খামারে কাজ করতেন। কাজের সুবাধে মানজুরের কাছে খামারের হাঁস ও ডিম বিক্রির এক মাসের ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জমা ছিল। মানজু মিয়ার কাছে পাওনা টাকা চাইলে আজ দিবো, কাল দিবো বলে ঘোরাতে থাকে।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিম ও হাঁস বিক্রির পাওনা টাকার হিসাব দেওয়ার কথা বলে মানজু চিনাইর শয়তান ঘাট নামক স্থানে ডেকে নেন ওই দম্পতিকে। পরে সেখানে যাওয়ার পর মানজু মিয়া ও তার ছোটভাই সাচ্চু মিয়া তাদেরকে পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো একদল লোক নিয়ে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার স্বামীকে পার্শ্ববর্তী তিতাস নদীতে ফেলে দিয়ে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ইঞ্জিনের নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে যায় মানজু ও তার সহযোগীরা।

পরে বিলের মাঝখানে একটি ঘরে নিয়ে সন্ধ্যার দিকে মানজু তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর সেই ঘরটিতে আগুন লাগিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ।

পরে তার স্বামী সেখান থেকে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পুলিশকে খবর দেয়। বিলের মাঝ খানের ঘর থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে ওই গৃহবধূ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে ল্যাবরেটরি রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। ল্যাবরেটরি রিপোর্ট এলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইস উদ্দিন জানান, হাঁস বিক্রির পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। যাদের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে তারা সম্পর্কে চাচাত ভাই-বোন বলে শুনেছি। তবে ধর্ষণের বিষয়ে আমাদের কাছে আজ রাত ৭টা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সময় নিউজ টিভি

Exit mobile version