ময়মনসিংহের ভালুকায় এক গার্মেন্টস কর্মীকে একটি যাত্রীবাহী বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পরে সোমবার (১৬ আগস্ট) থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত গাড়ির ড্রাইভার ও ২ হেলপারকে ওই যাত্রীবাহী বাসসহ গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ভালুকা সিডস্টোর বাজার থেকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ‘কথা আছে’ বলে ১৫বছরের ওই নারীকে ‘ফুসলিয়ে’ মায়ের দোয়া পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাসে করে ময়মনসিংহ চুরখাই এলাকায় মহাসড়কের জনৈক কদ্দুসের গ্যারেজের পাশে রাত ১০ টার দিকে বাসটি থামিয়ে বাসের ভিতরে ড্রাইভার রহিম (৩০) ও হেলপার মামুন (২৫) ও আশরাফ (২২) সারারাত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় গাড়ির ড্রাইভার রহিম মিয়া ওই নারীকে তাদের জামিরদিয়া এলাকায় লবণকোটা ভাড়া বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
পরবর্তীতে ওই ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ সোমবার (১৬ আগস্ট) রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল ইসলাম জানান, ওই নারী স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। মামলা হওয়ার পর আমরা ৩জন আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করি। ২জন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে ।