Site icon অবিশ্বাস

ভোলার দৌলতখানে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, সালিশে বিয়ের রায়

ভোলার দৌলতখানে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

 

ভিকটিম পরিবারের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রভাবশালী মহল। রফাদফায় শুক্রবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল ও সাবেক ইউপি সদস্য হাসানের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশ বৈঠকে ধর্ষকের সহযোগীর এক লাখ টাকা জরিমানা ও একশ’ বেত্রাঘাত এবং ধর্ষকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেয়ার রায় দেয়া হয়।

সালিশের দেয়া এ সিদ্ধান্ত ধর্ষকের পরিবার মেনে নিলেও রোববার সরেজমিন ধর্ষক রাজিব ও তার সহযোগী মিরাজকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তরা হলো ওই ওয়ার্ডের দফতরি বাড়ির নাছির উদ্দিনের ছেলে ধর্ষক রাজিব ওরফে রাজু ও ধর্ষণে সহযোগিতাকারী সাদু মালের জামাতা মিরাজ।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েল জানান, অভিযুক্ত ও ভিকটিমের পরিবারের সম্মতিক্রমে সালিশ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার সকালে সরেজমিন গেলে ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রী জানায়, জীবিকার তাগিদে দরিদ্র বাবা কয়েক দিন আগে সাগরে মাছ ধরতে যান। তাকেসহ ৬ ও ৮ বছরের তিন বোনকে বসতঘরে রেখে মা নানার বাড়িতে যান। বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ছোট বোনদের ঘুম পাড়িয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।
রাত ১টার দিকে মিরাজ ও রাজিব ওরফে রাজু বাইরে থেকে পেছনের দরজা খুলে ঘরে ঢুকে লাইট বন্ধ করে দেয়। আমি টের পেয়ে মোবাইলের টর্চের আলো জ্বালালে তাদের চিনতে পারি। এ সময় রাজিব আমাকে জাপটে ধরে মুখ ও হাত চেপে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ডাক-চিৎকার দিলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।

ওই ইউপির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজুর আলম বলেন, আমি যতদূর জেনেছি ঘটনা সত্য। আমার ইউনিয়নে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। ধর্ষণ ঘটনা মীমাংসায় সালিশের কোনো সুযোগ নেই।

দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুগান্তর

Exit mobile version