কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন একজন। আজ মঙ্গলবার ভোররাত ৪টায় উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের কালমারদিয়া পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩টি গুলি, গুলি রাখার একটি বেল্ট ও ১০৯টি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম শাহাব উদ্দিন (৩০)। তিনি মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য, শাহাব উদ্দিন এলাকার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি হত্যা ও চাঁদাবাজির অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভোররাতে কালমারদিয়া পাহাড়ি এলাকায় দুই দল সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে—এমন খবর পেয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাস চন্দ্র ধরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এরপর পিছু হঠে সন্ত্রাসীরা। সকাল সাড়ে আটটায় দিকে সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের ভেতর দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শাহাব উদ্দিনকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৯টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি প্রভাস চন্দ্র ধর বলেন, শাহাব উদ্দিন থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, অবৈধ অস্ত্র রাখা ও চাঁদাবাজির অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে ৬৯টি গুলি ছোড়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসা কর্মকর্তা শান্তুনো ঘোষ বলেন, শাহাব উদ্দিনের শরীরের তিনটি গুলির চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন।
স্থানীয় কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন, শাহাব উদ্দিন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী। নোনাছড়িসহ পাঁচটি গ্রামের মানুষের জন্য আতঙ্ক ছিলেন তিনি।
সূত্রঃ প্রথম আলো