Site icon অবিশ্বাস

মাদারীপুরে ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে, ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ, মামলা করে বিপাকে

মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম কুচিয়ামোড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের বখাটে ছেলে শাকিল হাওলাদার একই এলাকার নবম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। পরে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার পর লজ্জায় ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় যেতে পারছে না। তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে মামলা করায় ওই বখাটের পরিবার ছাত্রীর পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে বুধবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠন মৈত্রী মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলের মাধ্যমে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর বাবা। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সংবাদ বলেন, মামলা করার ২২ দিন পরও বখাটেকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ সময় তিনি ধর্ষককে গ্রেফতার ও কঠোর বিচারের দাবি করেন। ছাত্রীর বাবা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার মেয়ে যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ত তখন থেকেই বখাটে শাকিল হাওলাদার নানাভাবে বিরক্ত করত। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে আরও ক্ষিপ্ত হয়। ২৬ নবেম্বর আমার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে শাকিল জোর করে ধরে তার নানাবাড়িতে নিয়ে যায়। ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি আমার মেয়ে ভয়ে ও লজ্জায় গোপন রাখে। পরে বখাটে ধর্ষণের ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার পর আমার মেয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তিনি আরও বলেন, ‘মাদারীপুর সদর থানায় গত ২৬ নবেম্বর মামলা করেছি। কিন্তু ২২ দিন পার হলেও প্রধান আসামি শাকিলকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। উল্টো বখাটের বাবা নুরুল হক হাওলাদারসহ চাচা রিপন হাওলাদার, চাচা কামাল হাওলাদার, ভগ্নিপতি রফিক চৌকিদার, মা মায়া বেগম আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে।

এখন আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনকে জানানোর পরও এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমি বখাটে শাকিলের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’

এদিকে অভিযুক্ত বখাটের বাবা নুরুল হক হাওলাদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু এখনও কোন ছবি বা ভিডিও দেখিনি। আমি চেয়েছিলাম বিষয়টি সমাধান করার। কিন্তু তারা আমাদের এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কথা না শুনে মামলা করেছে। বিচার যা হয় আদালতেই হবে।’

জনকণ্ঠ

Exit mobile version