Site icon অবিশ্বাস

মাদারীপুরে ধর্ষণ ও হত্যার পর পুড়িয়ে দেয়া হল মাদ্রাসাছাত্রীর মুখ

মাদারীপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার পর মুখ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নিখোঁজের দু’দিন পর ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। শনিবার শহরের পাকদী এলাকার একটি পুকুরে ওই ছাত্রীর বিবস্ত্র লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ তা উদ্ধার করে।

নিহত দিপ্তী আক্তার মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দিপ্তী বুধবার সকালে মাদারীপুর শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে আসে। ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে বেড়ানো শেষে নিজ বাড়িতে রওনা দেয়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল।১৩ জুলাই শনিবার বিকালে পাকদী এলাকার একটি পুকুর থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা রোববার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করে।

ওই ছাত্রীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পেটের ওপর ছুড়িকাঘাত করা রয়েছে।

নিহতের চাচা গোলাম মাওলা ফকির বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল দিপ্তী। পরে আমরা খবর পাই একটি মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার হাসপাতালের মর্গে এসে লাশ দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করি।

আমরা ধারণা করছি, কেউ অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে দিপ্তীকে হত্যা করেছে। মেয়েটির মুখ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। স্থানীয়রা জানান, লাশটি অনেকটাই পচে বিকৃত হয়ে গেছে এবং বিবস্ত্র অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, কিশোরীর পরিচয় পাওয়া গেছে। মামলা হবে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।

যুগান্তর

Exit mobile version