শেরপুরে সৎ মেয়েকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে মো. ফজল হক (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের বড় ঝাউয়েরচর ছিটপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ফজল হক ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর বড় ঝাউয়েরচর ছিটপাড়া গ্রামের এক কন্যার জননী দ্বিতীয় বিয়ে করেন পাশ্ববর্তী ফজল হক নামে এক ব্যক্তিকে। বিয়ের পর প্রথম দিকে মেয়েটির ঠাঁই হয় শেরপুর শহরের চাপাতলী এলাকায় অবস্থিত সরকারি বালিকা শিশু সদনে (এতিমখানায়)। সেখানে থেকে ১২ বছর বয়সী কিশোরীটি এবার ৫ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ওই কিশোরী এতিমখানা থেকে ছুটি নিয়ে ঝাউয়েরচর ছিটপাড়া গ্রামে তার মায়ের বাড়িতে যায়। কিন্তু কিশোরীর ওপর কুদৃষ্টি পড়ে ওই সৎ বাবা মো. ফজল হকের।
এরই একপর্যায়ে ফজল হক রোববার রাতে তার স্ত্রীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে সোমবার ভোরে লম্পট ফজল হক ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই কিশোরীর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। পরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। ওই কিশোরীর সৎ বাবা ফজলু মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে তাকে বিচারিক হাকিম জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ