যশোরের মণিরামপুরে ঋষিপল্লীর এক স্কুলছাত্রীকে পাটক্ষেতে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয় দাস নামের এক বখাটের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি চক্র কথিত সালিশের নামে ওই যুবককে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে ৯ জুন রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সঞ্জয় দাসের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয়কে রবিবার বিকালে আটক করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক জানান, ঋষিপল্লীর ওই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী গত শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে মাঠে শাক-সবজি তুলতে যায়। তাকে একা পেয়ে পাট ক্ষেতে নিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশী মধু দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস (৩৫)।
ওই সময় ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সঞ্জয় পালিয়ে যায়। আব্দুল হক বলেন, বিষয়টি শোনার পর ওই ছাত্রীকে নিয়ে শনিবার (৮ই জুন) সন্ধ্যায় থানায় আসি। রাতে এই ঘটনায় মামলা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি শুক্রবার বিকালে শালিস বসিয়ে সঞ্জয়কে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে। তারা (শালিসে) সঞ্জয়কে শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় দেয়। নির্ধারিত সময়ে সঞ্জয় টাকা নিয়ে হাজির না হওয়ায় বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসকে আটক করা হয়েছে।