Site icon অবিশ্বাস

রংপুরের বদরগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রকে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার

রংপুরের বদরগঞ্জে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে ইসমাইল হোসেন নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের নির্যাতন, নিপীড়ন ও ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

বুধবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার।

ওসি জানান, ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মধুপুর ইউপির ময়নাকুড়ি হলকার ঘর হাফেজিয়া মাদরাসা থেকে শিক্ষক ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বলাৎকারের শিকার হওয়া ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। বুধবার আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিশুর পরিবার ও থানা সূত্র জানায়, গত সোমবার মাদরাসার শিশুদের দিয়ে সড়কের মোড় ও বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদা কালেকশন করানো হয়। সেই ছাত্রদের মধ্যে ওই ভুক্তভোগী ছাত্র ছিল। দিন শেষে ক্লান্ত শরীরে মাদরাসায় ফেরে ছাত্রটি। রাতের খাবার খেয়ে শিশুটি সহপাঠীদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে অফিস কক্ষে ডাকেন শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তিনি। পরে ওই ছাত্রকে তার কক্ষে পাঠিয়ে দেন শিক্ষক। মঙ্গলবার দুপুরে মাদরাসা থেকে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনাটি পরিবারকে অবগত করে ওই ছাত্র।

পরে অভিভাবকসহ স্থানীয়রা মাদরাসা কমিটির কাছে ধর্ষণের বিচার দাবি করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। এতে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে জড়ো হন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় ওই রাতেই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মাদরাসা কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বলেন, শিক্ষক ইসমাইল হোসেন রংপুর সদরের মমিনপুর ইউনিয়নের হল্লাইপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠায় মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। এ সময় পুলিশ এসে ইসমাইল হোসেনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, নির্যাতিত ছাত্রের অভিভাবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদরাসা থেকে ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার শিক্ষককে বুধবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

নতুন সময়

Exit mobile version