Site icon অবিশ্বাস

রংপুরের মিঠাপুকুরে ধর্ষণের পর হত্যা, মামাতো ভাইয়ের ঘরের মেঝে খুঁড়ে মিলল শিশুর লাশ

নিখোঁজের একদিন পর প্রতিবেশী মামাতো ভাইয়ের ঘরের মেঝে খুঁড়ে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ।

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বুজরুক সন্তোষপুর গাছুয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

২৭ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে হতভাগ্য শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ এক নারীকে আটক করেছে। তবে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে সেই অভিযুক্ত যুবক রাজা মিয়া পলাতক রয়েছে।

নিহত ওই শিশুর নাম রহিমা খাতুন (১০)। সে উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের বুজরুক সন্তোষপুর গাছুয়াপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক রবিউল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় বুজুর্গ সন্তোষপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে শিশুটি মায়ের কাছে ১০ টাকা নিয়ে স্থানীয় বাজারে মুদি দোকানে চিপস কিনতে যায়। এরপর সে আর ফিরে আসেনি। তার বাবা-মা বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি।

পরদিন বৃহস্পতিবার গ্রামবাসী ও তার পরিবার রাজা মিয়া নামে এক যুবককে সন্দেহ করে। তাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু সে পালিয়ে যায়। এরপর তার বসতঘরের মেঝেতে গর্ত খোঁড়ার চিহ্ন দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেন এলাকাবাসী।

রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজা মিয়ার ঘরের মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির সম্পর্কে মামাতো ভাই ও প্রতিবেশী শাহীন মিয়ার বখাটে ছেলে রাজা মিয়া (২০)। সন্দেহ করা হচ্ছে সে নিহত রহিমাকে ফুঁসলিয়ে বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। হয়তো এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাকে হত্যা করে। পরে লাশ গোপন করতে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে।

এলাকাবাসী আরও জানান, শিশুটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার ভোরে প্রতিবেশী রাজা মিয়ার ঘরের খাটের নিচে মাটি খোঁড়া অবস্থা দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাদের সন্দেহ হলে মাটি খুঁড়ে শিশুটির হাত দেখতে পান তারা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই গর্ত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।

মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পলাতক রাজা মিয়াকে ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

যুগান্তর

Exit mobile version