রংপুরের মিঠাপুকুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত সোমবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে ৩১ মার্চ মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষকের নাম নাম আনারুল ইসলাম। তিনি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার আবদুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। আনারুল রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ শ্যামপুর গ্রামে বিয়ে করে প্রায় আট বছর যাবত সেখানেই ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। পেশায় তিনি মাছ ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আনারুল স্থানীয় একটি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। সোমবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী পাশের মুদি দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনারুল তাকে টেনে হিঁচড়ে পাশের একটি মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ধরে ফেলে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম দীলিপ থানায় খবর দিলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, গ্রেফতার আনারুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মামলা হয়েছে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।