Site icon অবিশ্বাস

রংপুরে কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গৃহশিক্ষক গ্রেফতার

রংপুরের হারাগাছে কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সোহেল রানাকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার ধর্ষিতাসহ সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে বিএনপির দুই নেতার হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগের সত্যতা মেলায় ওসি নাজমুল কাদেরকেও প্রত্যাহার করা হয়।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সময় সংবাদে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার হলে মাঠে নামেন পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। এদিনই মামলা রেকর্ড ও ওসি নাজমুলকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন মহানগর পুলিশ কমিশনার।

দিনভর অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে মেনাজ-বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে থানায় আনেন পুলিশ সদস্যরা। এরআগে শনিবার রাতেও নিজের বাড়ি থেকে নির্যাতিতা কলেজছাত্রীসহ আটক করে তাকে থানায় আনা হয়েছিল।

কিন্তু আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বদলে দুই বিএনপি নেতার হাতে তাদের ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে থানার ওসি নাজমুল কাদেরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার ফারুক আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে মামলা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাকে ধরা হয়েছে। এ ঘটনায় যদি কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান ও কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান রোববার রাতে তাদের নিয়ে প্রকাশ্য সালিশ বসিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। কিন্তু মামলায় তাদের আসামি না করায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ও কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমার জিম্মায় নিয়েছি, আমি ইচ্ছা করে নেয়নি তো, আমাকে দেয়া হয়েছে।

কে আপনাকে এ দায়িত্ব দিয়েছেন সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থানার ওসি সাহেব।

ধর্ষককে গ্রেফতার করায় সন্তুষ্টি জানালেও কঠোর বিচারের দাবি জানান সচেতন নাগরিক সমাজ, স্বজন ও এলাকাবাসীরা।

সময় নিউজ টিভি

Exit mobile version