Site icon অবিশ্বাস

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে টাকা শোধ করতে না পেরে মেয়েকে ধর্ষণের অনুমতি দিলো বাবা

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পাওনা টাকা শোধ করতে না পেরে ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবার বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচরে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর রাত ১টার দিকে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

 

ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করা গেলেও ধর্ষককে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ওই কিশোরীর বাবাই ফোন দিয়ে ধর্ষক আবুলকে (৩৬) সতর্ক করে দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এপ্রসঙ্গে কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ মো. মোর্শেদ আলী জানান, কিশোরীর বয়স ১৩ বছর। তার মা প্রবাসী। তার বাবা আবুল (৩৬) নামের এক ব্যক্তির মুরগির দোকানের কর্মচারী। প্রায় একবছর আগের দোকান মালিক আবুল ওই কিশোরীর বাবাকে ৬ হাজার টাকা দেন। তখন থেকে তাগাদা দিলেও টাকা শোধ করতে পারেনি কিশোরীর বাবা। পরে নিজের মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার কুপ্রস্তাব দেয় সে। এরপর থেকেই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে পাওনাদার ওই দোকান মালিক।

পরে ওই কিশোরী পাশেরবাড়ির এক নারীর কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে তাকে বাঁচাতে বলে। পরে ওই প্রতিবেশী মঙ্গলবার বিকেলে ৯৯৯এ কল দিলে বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ওই প্রতিবেশীই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

এসআই জানান, আটক হওয়ার পর ওই কিশোরীর বাবাই কৌশলে ফোন দিয়ে ধর্ষক আবুলকে পালিয়ে থাকতে বলে। তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগী ওই মেয়ের বাবাকে গ্রেফতার করা গেলেও আসামি আবুলকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।

ঢাকা ট্রিবিউন

Exit mobile version