রাজধানীর শ্যামপুর মিতালী গলি থেকে ইয়াসিন আরাফাত (১১) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শ্যামপুরের মিতালী গলির একটি বাসা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিএম আজম শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
এসআই বলেন, শিশুটিকে তার মা মাদ্রাসায় যেতে বলেছিল, কিন্তু সে মাদ্রাসায় যায়নি। তার মামার বাসায় গিয়ে সিলিংফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইয়াসিনের বাবার নাম মো. হানিফ। মায়ের নাম লিপি বেগম। শ্যামপুরের মিতালী গলির একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকেন তারা। তার বাবা রিকশাচালক। এক ভাই ও একবোনের মধ্যে ইয়াসিন বড় ছিল। ছোটবোন তৃষ্ণার বয়স মাত্র ৮ বছর।
শিশুটির ফুফাতো ভাই শান্ত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইয়াসিনকে শ্যামপুরের একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু, ইয়াসিন মাদ্রাসায় যেতে চাইতো না। সকালে তাকে তার মা মাদ্রাসায় যেতে বলে। এরপর দুপুরে সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তাদের বাসার ওই মিতালী গলিতেই তার মামার বাসা, সেখানে গিয়ে ইয়াসিন গলায় ফাঁস দেয়। এসময় মামার বাসায় কেউ ছিল না। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় শিশুটির পরিবার কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়নি। তবে তারপরও পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানার জন্য লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ, শিশুটিকে মাদ্রাসায় নির্যাতন করা হতো বলে সে মাদ্রাসায় যেতে চাইতো না। তাই নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে গলায় ফাঁস দিয়েছে।