রাজশাহীর বাঘায় মোবাইলে ডেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিকের তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ জুন রোববার দিবাগত রাতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্কের কারণে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মানিক হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন ওরফে আলামিন (২২) নামের এক যুবক ১৪ বছরের কিশোরী প্রেমিকাকে শনিবার সন্ধ্যায় মোবাইল করে ডেকে নেয়। তার কথা অনুযায়ী প্রেমিক কিশোরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে আসে এবং তাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাত হয়।
কিছুক্ষণ পর প্রেমিক সুমন হোসেন ওরফে আলামিন একটা কাজ আছে বলে তার তিন বন্ধুর কাছে প্রেমিকাকে রেখে চলে যায়। তারপর প্রেমিক সুমন হোসেন ওরফে আলামিন আর ফিরে আসে না। অত:পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনে রাতভর কিশোরীকে গণধর্ষণ করে প্রেমিকের তিন বন্ধু।
এ ঘটনায় রোববার রাতে কিশোরী বাদী হয়ে বাঘা থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তিনজন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো-উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের এমদাদ আলীর ছেলে তারেক হোসেন (২৫), মিলিক বাঘা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে আরিফ হোসেন ওরফে নাসির (২৩), বাজুবাঘা নতুন পাড়া গ্রামের নওসেন আলীর ছেলে সবুজ আলী (২১)। তবে এই মামলার মুল আসামি সুমন হোসেন ওরফে আলামিন পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক আছে। তাকেও গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।