Site icon অবিশ্বাস

লালমনিরহাটে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে এক স্কুল ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষনের পর অপহরন করে মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবা। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে আদিতমারী থানায় মেয়েকে অক্ষত উদ্ধারের আইনী সহায়তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর বাবা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের টেপাটারী গ্রামের আখতার আলীর ছেলে দুই সন্তানের জনক মাখন মিয়া (৩৫) তার প্রতিবেশী মানসিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে(১৫) প্রায় সময় উত্ত্যাক্ত করে আসছিলো। মেয়েটির পরিবার একাধিকবার মাখনকে নিষেধ করলেও তিনি আচরণ পরিবর্তন না করে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গত ২৭ জানুয়ারি বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে মেয়েটিকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি ওই মেয়েটি তার ডায়েরিতে লিখে রাখে এবং তার এক বান্ধবীর সাথে শেয়ার করে।

পরদিন ২৮ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের যাওয়ার কথা বলে বান্ধবীর মামা পাশ্ববর্তি সদর উপজেলার হলদিটারী গ্রামের ঢাঙ্গা আব্দুলের ছেলে একাধিক মামলার আসামি আব্দুস সালামের কাছে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি জানিয়ে বিচারের পরামর্শ চায়। এটাকে সুযোগ পেয়ে আব্দুস সালাম ওই স্কুল ছাত্রীকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে অপহরণ করে। অনেক খোঁজাখুজি করে মেয়ের সন্ধান না পেয়ে তার ডায়েরিতে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারে পরিবার।

এরই মধ্যে গত ৩১ জানুয়ারি রাতে অপহরণকারী আব্দুস সালাম নিজে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে নিখোঁজ মেয়েটি তার হেফাজতে আছে এবং ফেরত পেতে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মেয়েটির অর্ধশিক্ষত বাবা বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বিচার প্রার্থী হয়ে কোনো সুরাহা না পেয়ে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে আদিতমারী থানায় ধর্ষক মাখন মিয়া ও অপহরণকারী আব্দুস সারামসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়েকে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতে এবং পতিতালয়ে বিক্রি করতে মাখন ও সালাম এ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ চক্রটি ইতিপুর্বেও অপহরণের দায়ে হাজতবাস করেছিলো। তিনি মেয়েকে অক্ষত ফিরে পেতে সরকারি উচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মশিউর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে অক্ষত উদ্ধারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

আমাদের সময়

Exit mobile version