Site icon অবিশ্বাস

শিক্ষককে ভয় দেখাতে জাবি ছাত্রলীগ নেতার গুলি, মাদক বিক্রেতা আহত

ঢাকার আশুলিয়ার পানধোয়া এলাকায় ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লার গুলিতে তারই এক সহযোগী আহত হয়েছেন।

 

গুলিবিদ্ধ আবুল হোসেন (৪০) সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসা আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে চলছে।

৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানধোয়া এলাকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মনসুর আলীর বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ আবুল হোসেন গোকুলনগর এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে।

জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মনসুর আলী যুগান্তরকে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে তার বাসার সামনে মাদক বেচাকেনা করে আসছে একটি চক্র। তিনি তাদেরকে মাদক বিক্রি করতে প্রতিনিয়ত বাঁধা দিয়ে আসছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদক বিক্রেতারা তার বাসার সামনে জড়ো হয়। এ সময় তিনি আবার তাদেরকে বাঁধা দেন। এ নিয়ে মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা হাসানের নেতৃত্বে শামীমসহ ১০-১৫ জনের একটি দল তার বাসার সামনে এসে তাকে ডেকে বাসা থেকে বের করেন।

এ সময় জাবি শাখার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লা তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে তাকে ভয় দেখাতে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এ সময় একটি গুলি শামীমের সহযোগী মাদক বিক্রেতা আবুল হোসেনের ডান হাতে লাগে। গুলিটি হাত ভেদ করে বুকের ডান পাঁজরে গিয়ে বিদ্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গে আবুল হোসেন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশের কর্মকর্তারা।

আশুলিয়া থানার এসআই হারুন অর রশিদ বলেন, হাসানের নেতৃত্বে বাড়ি সামনে গলিতে লাঠি ও অস্ত্রসহ এসে গুলি করে। এ সময় আবুল নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে এনামে ভর্তি আছে। গুলি করার সময় শামিম মোল্লা ও হাসানসহ ৫/৭ জন ছিল। তাদেরকে আটক করতে অভিযান চলছে।

যুগান্তর

Exit mobile version