শেরপুরের শ্রীবরদীতে পিতার বয়সী এক কৃষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ফলে অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী (১৪) সাত/ আট মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রীবরদী থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
শ্রীবরদী থানা পুলিশ সুত্র জানায়, অন্তঃস্বত্তা কিশোরীর বাবা উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের আব্দুস ছালামের বর্গাচাষী হিসেবে কাজ করতেন। কিছুদিন আগে ছাত্রীর বাবা মারা যান। এরপর থেকে জমির মালিক ছালাম মাঝে-মধ্যে তাদের বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে কিশোরীকে নানা সময় কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি কিশোরী তার মাকে জানালে মা ছালামকে সতর্ক করেন।
এরপর সুযোগ বুঝে ছালাম গত ৫ এপ্রিল থেকে ২০ মে’র মধ্যে সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নানা প্রলোভনে ফেলে ছালাম ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং এ কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। সম্প্রতি কিশোরীর শরীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। এরপর গত ২২ ডিসেম্বর অন্তঃস্বত্তা কিশোরী, তার মা ও স্বজনেরা ছালামের বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ছালাম ও তার সহযোগীরা হুমকি দেয় ও ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাপ প্রয়োগ করে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় অন্তঃস্বত্তা কিশোরীর মা বাদী হয়ে ছালামসহ তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।