সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে দেশের একটি মানবাধিকার সংস্থা আইন সালিশ কেন্দ্র আদালতে জন স্বার্থ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করার পরিকল্পনা নিয়েছে। খবর বিবিসির। আইন ও সালিশ কেন্দ্র নামে দেশের শীর্ষ স্থানীয় এ মানবাধিকার সংস্থা বলেছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ফলে যে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে তারা আদালতে জন স্বার্থ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করবে। সংগঠনটির নিজস্ব তথ্য ও অনুসন্ধান দল দেশের বিভিন্ন জায়গায় তথ্য সংগ্রহ করছে। এ সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, এ হামলা কারা করেছে তার কোন তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে এখনও আসেনি। তবে বিএনপি কর্মীরা এবং মুলত সন্ত্রাসীরাই এসব হামলা চালিয়েছে। এই সংগঠন বলেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটলেও বিশেষ করে বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, ফেনীর সোনাগাজী, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটে এসব ঘটনা বেশীঘটেছে। সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট সুলতানা কামাল বিবিসিকে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার উপর সংগৃহীত তথ্য সম্পর্কে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা করা হচ্ছে এবং তাদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এছাড়াও একটা বিষয়ে কথা শোনা যাচ্ছে যে হিন্দু মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং উত্যক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, তবে সহজে এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। কেন যেন ভীতিকর একটা আবরণ রয়ে গেছে এ ব্যপারে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী চাঁদনী ও বাগার গ্রাম থেকে ১০জন নারী অপহরণের অভিযোগ এসেছে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটছে। যেমন গৌরনদী থানার ২০টি গ্রামের ১০ হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।
দৈনিক মুক্তকন্ঠ, ১৫ অক্টোবর ২০০১