নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ব্রতী পর্যবেক্ষণের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্বাচনে কিছু অনিয়ম ও সংখ্যালঘুদের ভোট দানে বাধা দেয়া হয়েছে। ব্রতী ১৯টি জেলার ৬৫টি নির্বাচনী আসনে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করে। ব্রতীর রিপোর্টে বলা হয়, নির্বাচন-পূর্ব ও নির্বাচনের দিনে বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু ভোটারদের পূর্ব থেকেই ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ঝালকাঠি-১ আসনের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ২৯ তারিখ রাত থেকেই ভোট কেন্দ্রে গেলে তাদের প্রাণনাশ করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। ওই আসনের রাজাপুর থানার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় সকল বাড়ির ভোটারদের ডেকে এনে ভয়-বীতি প্রদর্শন করা হয়। বিএনপির প্রার্থী শাজাহান ওমর ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে তজুমদ্দিন উপজেলার ৭৮ হাজার ভোটারের মধ্যে ১০ হাজার ভোটার রয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের। এই হিন্দু ভোটারদের বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগের দিন হুমকি দেয়া হয়েছে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বরিশাল শহরের উত্তরে কাউনিয়া অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোট কেন্দ্রে না যেতে নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপি ও জামায়াতের ক্যাডাররা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেছে। ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে সাহস করেনি। পটুয়াখালীর বাউফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নির্বাচনের আগের রাতে এলাকা ত্যাগ করার জন্য হুমকি দেয় চারদলীয় জোটের কর্মীরা। ফলে ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষ আতঙ্কে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পরিবারসহ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। বরিশালের বানারীপাড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা প্রদান করা হয়। এখানেও ২৯ তারিখের আগে থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয় এবং সম্প্রদায়ের নেতা ব্যাক্তিদের মারধর করা হয়।
মুক্তকণ্ঠ, ৪ অক্টোবর ২০০১