Site icon অবিশ্বাস

সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বাড়ীতে হামলা

গতকাল রায়পুরা থানার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামের প্রীতিবাবুর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করা হয় । প্রায় শতাধিক লোক মিছিল সহকারে উক্ত বাড়িতে যাইয়া আগুন লাগায়। ইহাতে ঘর সহ সমস্ত কিছু ভস্মীভূত হয়। এই বাড়ীর আশে পাশে সংখ্যালঘুর বাড়ীতে হামলা-লুটপাট চালান হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ায় এই হামলা চালান হয় বলিয়া অভিযোগ করা হয়। মনোহরদী থানার দৌলতপুর ইঊনিয়নের নিশ্চিন্তপুর ও হরিনারায়নপুুর গ্রামে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ীতে বিএনপি সন্ত্রাসীরা হামলা চালাইয়া ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করিয়াছে । এই সময় বহু লোক গুরুতর জখম হইয়াছে । স্থানীয় একটি মন্দিরেও হামলা হইয়াছে । সদর থানার পাঁচদোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা মহাদেব দাসের হোটেল ও মিষ্টির
দোকানে হামলা চালাইয়া ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। যশোর গতকাল শহরের মোল্লাপাড়া এলাকার একদল সন্ত্রাসী সদর উপজেলার বিজয় নগর গ্রামে কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবারের উপর চড়াও হয়। সন্ত্রাসীরা পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারপিট করিলে অন্তত: ১০ জন আহত হয়। তন্মধ্যে অধির কুমার ঘোষ নামক একজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। আহতদের সকলেই আওয়ামী লীগের সমর্থক।

অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী, বেদভিটা, বলারাবাদ, আন্দা, ডুমুরতলা, এক্তারপুর, সিদ্দিপাশা, বাঘুটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে একই সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর সোমবার রাত্রি হইতে অত্যাচার-নির্যাতনসহ নানা ভয় ভীতি প্রদর্শন করা হইতেছে। শার্শা ও কেশবপুর উপজেলার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাসমূহেও সহিংস ঘটনা ঘটিতেছে। বান্দরবান আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর বাহাদুর বিজয়ী হওয়ায় প্রতিপক্ষরা প্রতিহিংসা মূলকভাবে উপজাতিপাড়া ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করিয়াছে। ইউপি চেয়ারম্যান জলেককান্তি তংচঙ্গা জানান , সদর উপজেলাধীন গোয়ালীয়াখোলা সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী উপজাতি রোয়াজাপাড়ায় প্রতিপক্ষরা মঙ্গলবার রাতে বৌদ্ধদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর, কামালপুর, সাকাশ্বরসহ বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর হামলার খবর পাওয়া গিয়াছে। হামলাকারীরা ঘরবাড়ী ও কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হইয়াছে বলিয়া জানা গিয়াছে। এলাকাবাসী ও পুলিস সূত্রে জানা যায় , একদল সন্ত্রাসী গতকাল বুধবার সকালে এবং বৃহস্পতিবার রাতে উক্ত উপজেলার সূত্রাপূর, সাকাশ্বর, ও কামালপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ী ও দোকানপাটে হামলা চালাইয়া ভাংচুর ও লোকজনদের মারপিট করে। ইহাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। জনৈক প্রিয়নাথ গুরুতর আহত হইয়াছে। মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন ও হুমকি প্রদর্শন করা হইয়াছে।

দৈনিক ইত্তেফাক, ৪ অক্টোবর ২০০১

Exit mobile version