Site icon অবিশ্বাস

সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে সাতকানিয়ায় প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে হয়রানি

ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার চাওয়ার অপরাধে (!) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজ সোমবারের মধ্যে এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছে। এ ধরনের হয়রানিমূলক চিঠি পেয়ে হতবাক হয়ে গেছেন শিক্ষক চিত্তরঞ্জন আচার্য ̈। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম তার কারণ দর্শানো নোটিশে অভিযোগ করেছেন যে, চিত্তরঞ্জন আচার্য ̈ গত ২৩ অক্টোবর সাতকানিয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি হিসেবে সাতকানিয়া উপজেলা হিন্দু জনসাধারণ ও পূজার্থীদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিগত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এসব দাবি করাতে ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাতকানিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চিত্তরঞ্জন আচার্য ̈ সরকারি কর্মচারী হয়ে দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্টের প্ররোচনা জুগিয়েছেন বলে কারণ দর্শানো নোটিশে অভিযোগ করা হয়। এর পাশাপাশি নির্যাতন বন্ধ ও বিচার দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করাটিও বিধিবহির্ভূত হয়েছে বলে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৩০ মে জারিকৃত এই কারণ দর্শানো নোটিশে আজ সোমবারের মধ্যে চিত্তরঞ্জন আচার্য ̈ কে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সরকারিভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হয়রানি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার রয়েছে নিরাপত্তা চাওয়ার এবং সমাজের একজন হিসেবে চিত্তরঞ্জন আচার্যের এই আবেদন (প্রধানমন্ত্রীর কাছে) অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত ও সময়োচিত। তিনি সামজিক দায়িত্বই পালন করেছেন। বরং স্মারকলিপি দিয়ে সরকারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সহায়তা করে সঠিক কাজই করেছেন। এ ধরনের কারণ দর্শানো নোটিশ হয়রানি ছাড়া আর কিছু নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ভোরের কাগজ, ৩ জুন ২০০২

Exit mobile version