Site icon অবিশ্বাস

সখীপুরে প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ, ভিডিও ধারণ

প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের সময়ের এবং ধর্ষণের পর প্রেমিক যুগলকে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়। এমন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে টাঙ্গাইলের সখীপুরে।

এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা সখীপুর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ জালাল উদ্দিন (২৫) নামের এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্যে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার সূত্রে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে ওই কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়নের উলিয়াচালা খেলার মাঠের পাশে বসে গল্প করছিল। এ সময় ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘাটেশ্বরী গ্রামের ইস্রাফিল মিয়ার বখে যাওয়া ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৭) তার বন্ধু আশরাফুল (২৬), জালাল উদ্দিন (২৫), নজরুল উসলাম (৩০) ও আফাজ উদ্দিন (২৩) মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে যায়। তারা প্রেমিক যুগলের গতিবিধি ফলো করে। এক পর্যায়ে ওই প্রেমিক যুগলকে হাত, মুখ বেঁধে পাশের একটি বনে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রেমিক আবদুর রহিমকে (বাবু) গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। তারপর সাদ্দাম, আশরাফুল ও জালাল ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। এরপর প্রেমিক যুগলকে বিবস্ত্র করে তাদের নানা আপত্তিকর দৃশ্যও মুঠোফোনে ধারণ করে তারা। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে তাদের ওপর এ পাশবিক নির্যাতন। রাত ৯টার দিকে ঘটনা কাউকে বললে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ফেসবুক ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানায়, ‘আমার বন্ধুকে নিয়ে আলাপ করছিলাম। হঠাৎ ওরা আমাদের কাছে এসে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক আমাদের তুলে নিয়ে যায়। আমি তাদের উপযুক্ত বিচার চাই।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরো তালুকদার বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এর সঙ্গে জড়িতরা এলাকার চিহ্নিত বখাটে। এ অমানসিক ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।’

ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমি অসহায় দরিদ্র মানুষ। আমার মেয়েটার যে বখাটেরা সর্বনাশ করলো আমি তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

ইত্তেফাক

Exit mobile version