সাভারে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন-বাংলাদেশ জেএমবি’র সক্রিয় ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে র্যাব-৪ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে শনিবার রাতে (১৮ জুলাই) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর এলাকার বাড্ডা ভাটপাড়া মহল্লা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সেই সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু উগ্রবাদী বই, লিফলেট, সাময়িকী ও ডিজিটাল কনটেন্টসহ মোবাইল জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত জেএমবির সদস্যরা হচ্ছে, রাজশাহী জেলার ওমর ফারুক রুবেল ওরফে সানী (২৮), জামালপুর জেলার হাবিবুর রহমান ওরফে বাদশা (৪৮), একই জেলার সাইদুর রহমান ওরফে সাইদুর (৫৫), মাহবুবুর রহমান ওরফে দুদু (৫৫), শফিকুল ইসলাম শফিক (৩৭) ও গোলাম মোস্তফা (৫১)।
র্যাব জানায়, কিছু জেএমবি সদস্য সাভারের বাড্ডা এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়েছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল রাতে অভিযান পরিচালনা করে। পরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র সক্রিয় ৬ সদস্যকে আটক করেন তারা।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত ওমর ফারুক পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক ও একজন শীর্ষস্থানীয় জেএমবি নেতার কাছ থেকে “এনক্রিপটেড সফটওয়্যার” সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করেন। কোনও তথ্য গোপন করতে যে কোড বা সাংকেতিক ভাষা সফটওয়্যারে ব্যবহার করা হয়, তাকেই এনক্রিপ্টেড সফটওয়্যার বলা হয়। এছাড়া তার মোবাইল থেকে বিভিন্ন উগ্রবাদী ডিজিটাল কন্টেন্টও পাওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত মোস্তফার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে জেএমবি কর্তৃক জামালপুরে মুসলিম হতে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত আলোচিত গনি গোমেজ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, হাবিবুর রহমান জামালপুর সদর থানার ঘোড়াধাপ এলাকায় গত ১০ বছর যাবৎ জেএমবিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। সে ও তার সহযোগীরা গোপনে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সাইদুর রহমান জেএমবিকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও অসচ্ছল সদস্যদের মনোবল ধরে রাখতে সে বিভিন্ন সময় আর্থিক সহায়তা করে থাকেন। আর মাহবুবুর রহমান জেএমবি সদস্যদের মাঝে জঙ্গি সংক্রান্ত বিভিন্ন বই, ম্যাগাজিন নিয়মিত গোপনে বিতরণ করে থাকেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, “গ্রেফতার জঙ্গি সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”